প্রতিদিনের একঘেয়েমি রান্না থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন? এমন কিছু মসলা খুঁজছেন, যা আপনার খাবারের স্বাদকে দেবে এক নতুন মাত্রা? তাহলে রান্নায় যোগ করুন “চুইঝাল”। যা তরকারিতে দেওয়ার পরও চিবিয়ে খেতে পারবেন। ঝাঁঝালো এবং তীব্র মশলা আপনার প্রতিদিনের রান্নায় এনে দেবে এক অসাধারণ স্বাদ ও বাড়াবে মুখের রুচি। চুইঝাল মিশালে যেকোনো রান্নায় চলে আসবে এক অতুলনীয় ফ্লেভার। বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে এটি। তাই আর দেরি নয়,এখনই অর্ডার করুন।
দৈনিক একঘেয়েমি রান্না খেতে খেতে বিরক্ত? রান্নায় এমন কিছু ব্যবহার করতে চান যেন রান্নার স্বাদ হয় আরো স্পেশাল? প্রতিদিনের রান্নায় টুইস্ট আনতে রান্নায় ব্যবহার করুন “চুইঝাল”। ঝাঁঝালো ঝাঁঝ যুক্ত এই মসলা রান্নায় মিশে দারুন স্বাদ তৈরি করে। যেকোন রান্নায় যোগ করে এক অতুলনীয় ফ্লেভার। বিভিন্ন মুখরোচক খাবারকে আরো বেশি মুখরোচক করে তোলে এই চুইঝাল। যেসব রান্নায় ব্যবহার করা যায়:
চুইঝাল একটি পানপাতার মতো লতা ধরনের গাছ, যার শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি তীব্র ঝাঁঝালো মসলা, যা মূলত রান্নায় মশলা ও ঝাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর স্বাদ কিছুটা আদা ও গোলমরিচের মতো হলেও, একে চিবিয়ে বা চুষে খেলে এর অনন্য ঝাঁঝালো স্বাদ মনকে ভীষণ তৃপ্তি দেয়। বিশেষ করে খুলনা অঞ্চলে মাংস রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি খাবারে এক ভিন্ন ধরনের ফ্লেভার যোগ করে।
সাধারণত ১ কেজি মাংসে ৫০-৬০ গ্রাম চুইঝালই যথেষ্ট। তাই ৫০০ গ্রাম চুইঝাল দিয়ে সহজেই ৮-১০ কেজি মাংস রান্না করা সম্ভব।
চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০-১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর প্রথমে এর শিকড় বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিন, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট বা বড় টুকরো করে ব্যবহার করুন।
চুইঝাল দিয়ে রান্না করা তরকারিতে একটি তীব্র ও ঝাঁঝালো স্বাদ পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও, ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভুনা, এবং বিভিন্ন ধরণের রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার খাবারের স্বাদকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
ঝোলজাতীয় যেকোনো খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করা যেতে পারে। চুইঝালের ফ্লেভারটি ভালোভাবে ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য, দুই-তিনটি টুকরো চুইঝাল থেতো করে দিন, আর বাকি অংশটি যেন আস্ত থাকে। এতে ঝোলের মধ্যে চুইঝালের সুমিষ্ট ফ্লেভার পাবেন, আর সাথে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার আলাদা মজাও উপভোগ করতে পারবেন।
চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলা হয়। গাছ চুইঝালের ঝাঁঝ সাধারণত একটু বেশি হয়, আর এটি রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকে। তাই, চিবিয়ে খাওয়ার সময় এর স্বাদ পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।
চুইঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়ার সংলগ্ন মোটা বা মাঝারি মোটা অংশকে “এটো চুইঝাল” বলা হয়। এই এটো চুইঝালের ঝাল তুলনামূলকভাবে কম হলেও, রান্নায় এটি গলে গিয়ে ঝোলের মধ্যে দারুণ ফ্লেভার এনে দেয়। তরকারিতে দিলে এটি নরম হয়ে যায়, কিন্তু ঝোলের মধ্যে অত্যন্ত সুস্বাদু ফ্লেভার ছড়ায়। কম ঝাল এবং রান্নায় গলে যাওয়ার কারণে এটো চুইঝালও বেশ জনপ্রিয় এবং অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
পাহাড়ী চুইঝাল দেশের পাহাড়ি অঞ্চলের বিশেষত চট্টগ্রাম, রাঙামাটি এবং পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে। এর রঙ সাধারণত খয়েরী বা লালচে সাদা হয়, এবং রান্না হতে যথেষ্ট সময় লাগে। এটি খেতে খুব সুস্বাদু নয় এবং কাঠের মতো শক্ত হয়ে থাকে। পাহাড়ী চুইঝালের বাহ্যিক অংশে কোনো শিকড় থাকে না, তবে দেশী চুইঝালের কান্ড ছোট ছোট শিকড়ে পরিপূর্ণ থাকে। রান্নায় এটি একেবারেই ঝাঁঝালো ফ্লেভার যোগ করে, যা খাবারের স্বাদে একটা আলাদা তীব্রতা আনে।
চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধান করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে এবং শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে এটি এক ধরনের ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চুইঝাল কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক। এছাড়াও, এটি ঘুমের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
যেকোন জিজ্ঞাসা ও অর্ডারজনিত সমস্যায় কল করুন আমাদের হেল্পলাইনে 01611-945190। অথবা নক করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক পেজে। আমরা আছি সকাল ১০ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত আপনার সেবায়।
“চাষীর হাসি” দক্ষিণাঞ্চল ডুমুরিয়া,খুলনার সর্বাধিক জনপ্রিয় মসলা “চুইঝাল” কৃষকের হাত থেকে সরাসরি পৌঁছে দেই আপনাদের হাতে। ২০১৬ সাল থেকে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও, আপনাদের আস্থা,ভালোবাসা ও তরকারির সঠিক স্বাদ বুঝাতে ২০২৪ সাল থেকে প্রতিনিয়ত সমগ্র দেশে এবং দেশের বাইরেও আমরা চুইঝাল সরবরাহ করে যাচ্ছি। আপনাদের সুন্দর রিভুউ ও ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। তাই সঠিক পন্য খান,সুস্থ থাকুন।
© 2024 chasirhasi.com All rights reserved.